হয় স্বাধীন ফিলিস্তিন; নয়তো মুসলমানরা শাহাদাতকেই বরণ করে নেবে-মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
সকল প্রকার যুদ্ধবিধি ও আইন-কানুন লঙ্খন বিশে^র সবচেয়ে বড় ইবলিস ও মহাশয়তান নেতানিয়াহু গাজায় ইতিহাসের বর্বরতম গণহত্যা ও নির্মম মানবতাবিরোধী অপরাধ চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
তিনি আজ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে মার্চ ফর গাজা কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ পূর্ব বিশাল জমায়েতে এসব কথা বলেন। সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিম উদ্দীন মোল্লা,কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য জামাল উদ্দিন, মহানগরী প্রচার-মিডিয়া সেক্রেটারি মুহাম্মদ আতাউর রহমান সরকার প্রমূখ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, ইসরাইলী বর্বরতা ও নির্মমতা অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করলেও জাতিসংঘ সহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো শুধু বিবৃতি দিয়েই নিজেদের দায়িত্ব শেষ করছে। ওয়াইসিও রয়েছে রীতিমত নিরব দর্শকের ভূমিকায়। মূলত, মুসলমানদের নামে এ সংস্থাটি মাজাভাঙা ও অতিশয় দুর্বল। এমন নাম সর্বস্ব সংস্থা দিয়ে ইসলাম ও মুসলমানদের কোন কল্যাণই সম্ভব নয়। তাই এমন অকার্যকর ও অথর্ব সংস্থা ভেঙে দিয়ে মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের জন্য নতুন প্লটফর্ম তৈরি করতে হবে। তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমরা গাজাকে মুক্ত ও ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার আগ পর্যন্ত কোন ভাবেই থেমে যাবো না। হয় আমরা ফিলিস্তিনকে স্বাধীন করবো; নয়তো ফিলিস্তিনী শিশুদের মত শাহাদাতকে হাঁসিমুখে বরণ করে নেবো। মুসলমানদের জন্য এর কোন বিকল্প পথ নেই’। তিনি ইসরাইলী প্রধানমন্ত্রী
বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, অবিলম্বে গাজায় নির্মমতা ও নিধনযজ্ঞ বন্ধ করুন। অন্যথায় আপনি সহ পুরো ইসরাইলকে চরম মূল্য দিতে হবে।
তিনি বলেন, মুসলিম উম্মাহ সহ বিশ্বের প্রায় সকল রাষ্ট্র এবং আত্মসচেতন মানুষ স্বাধীন ফিলিস্তিনী রাষ্ট্রের পক্ষে। মূলত, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ছাড়া পুরো মধ্যপ্রাচ্য সঙ্কটের স্থায়ি সমাধান সম্ভব নয়। অথচ বর্বর জায়বাদীরা গাজা থেকে ভূমিপুত্রদের বিতাড়িত করার করার গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবেই নির্মম হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে। তারা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বাধীনতারও স্বীকৃতি দিতে চায় না। কিন্তু কোন মুসলমান বেঁচে থাকতে গাজাকে খালি করার ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হতে দেবে না বরং বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়ে হলেও ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে। তিনি মুসলিম উম্মাহ ও বিশ্ব জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে অবিলম্বে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে প্রতিষ্ঠার জন্য জাতিসংঘ সহ বিশ্ব সংস্থাগুলোর প্রতি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানান। অন্যথায় শান্তিপূর্ণ বিশ্ববাসী এসব সংস্থাগুলো থেকে বেড়িয়ে আসবে।
ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, দখলদার ইসরাইলী বাহিনীর নির্মমতা ও নিষ্ঠুরতার প্রতিবাদে বিশ্বের ধর্ম, বর্ণ ও গোত্র নির্বিশেষে শান্তিপ্রিয় মানুষ আজ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। তারা এ ইস্যুতে আজ ঐক্যবদ্ধ। তাই অবিলম্বে গাজায় দখলদার বাহিনীর হামলা বন্ধ না হলে ‘মার্চ ফর গাজা’ নয় বরং বিশে^র মুসলমানরা ফিলিস্তিন অভিমুখে যাত্রা শুরু করবে। তিনি ইহুদীবাদী সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় মুসলিম উম্মাহকে সব সময় ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।