“মার্চ ফর গাজা” — বাংলাদেশের হৃদয়ে ফিলিস্তিন
ঢাকা, বাংলাদেশ | এপ্রিল ২০২৫:
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে একটি ঐতিহাসিক ও ব্যাপক-আয়তনের সমাবেশ — “মার্চ ফর গাজা”, যা ছিল বাংলাদেশের ইসলামি স্কলারদের সম্মিলিত উদ্যোগে আয়োজিত ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি ও ইসরাইলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের এক বিশাল প্ল্যাটফর্ম।
এই সমাবেশে অংশগ্রহণ করেছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত কোটি কোটি মুসলমান, যাঁরা তাঁদের কণ্ঠে ও হাতে তুলে ধরেছেন ফিলিস্তিনের মুক্তির দাবি এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের আহ্বান। ঢাকার অলিগলি, রাস্তাঘাট, মাঠ-ময়দান ভরে ওঠে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের স্লোগানে—
“ফিলিস্তিন মুক্ত হোক”, “ইসরাইল নিপাত যাক”, “উম্মাহ এক হও”।
সমাবেশের মূল বক্তৃতাগুলি ছিল অত্যন্ত আবেগঘন ও স্পষ্ট বার্তাবহ:
ইসলামী স্কলাররা বিশ্ব মুসলিম নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে দৃঢ় ভাষায় বলেন, ও.আই.সি. এবং মুসলিম বিশ্বের সরকারগুলোকে এখনই সিদ্ধান্ত নিতে হবে— “নীরবতা নয়, প্রতিরোধই উত্তম জবাব।”
বক্তারা জোর দিয়ে বলেন, ফিলিস্তিন কেবল একটি ভূখণ্ড নয়, এটি মুসলিম উম্মাহর এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। আজকের এই সমাবেশ তার প্রমাণ। সমাবেশের একটি উল্লেখযোগ্য দিক ছিল মানুষের স্বতঃস্ফূর্ততা ও সংহতির গভীরতা:
শিশু থেকে বৃদ্ধ, ছাত্র থেকে আলেম, কৃষক থেকে ব্যবসায়ী—সবাই যেন এক কণ্ঠে বলছিলেন, “আমরা ফিলিস্তিনের পাশে, ইসরাইলের বিপক্ষে।”
অবিলম্বে বিশ্ব মুসলিমদের একত্রিত হয়ে ইসরাইলের বিরুদ্ধে কার্যকর কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা।
ইসরাইলের যুদ্ধাপরাধের আন্তর্জাতিক তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা।
মুসলিম ভ্রাতৃত্বের ভিত্তিতে মানবিক সহায়তা ও রাজনৈতিক সমর্থনের ঢেউ তৈরি করা।
“মার্চ ফর গাজা” ছিল কেবল একটি সমাবেশ নয়, এটি ছিল বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মুসলিম উম্মাহর প্রতি একটি জাগরণের ডাক। এই প্রতিবাদ বাংলাদেশের মানুষ যে নিছক আবেগ নয়, বরং বিশ্ব রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা রাখার জন্য প্রস্তুত—তার এক শক্তিশালী প্রমাণ।
এই ঐতিহাসিক মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য সংবাদমাধ্যম, সমাজ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ প্রত্যাশা করছে এই জনস্রোত। ফিলিস্তিনের মুক্তি হোক, মুসলিম উম্মাহ এক হোক—এটাই ছিল কোটি মানুষের হৃদয়ের অনুরণন।