বায়তুল ফালা জামে মসজিদের পবিত্র জুম্মার নামাজ: এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত
বিশিষ্ট সমাজসেবক মোঃ আসাদুজ্জামান ( পিতা মৃত মোহাম্মদ তছির উদ্দিন ) এর অক্লান্ত পরিশ্রম ও অত্র এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের আন্তরিক সহযোগিতায় নবনির্মিত বায়তুল ফালাহ জামে মসজিদটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যা অত্র এলাকায় এক নতুন আলোর পথচলা শুরু করেছে। সম্প্রতি, মসজিদে অনুষ্ঠিত পবিত্র জুম্মার নামাজ ছিল এক স্মরণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, যা স্থানীয় মুসল্লিদের হৃদয়ে গভীর প্রভাব ফেলেছে।
মুফতি সাইফুল ইসলাম (খতিব- মসজিদ-উত তাকওয়া, ধানমন্ডি, ঢাকা ) এর ইমামতিতে অনুষ্ঠিত এই পবিত্র নামাজে, খুতবা পূর্বে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ধর্মীয় ও সমাজসেবামূলক বিষয়সমূহ তুলে ধরা হয়। মুফতি সাইফুল ইসলাম তাঁর বাণী প্রদানকালে মুসলিম উম্মাহর একতা, ধর্মীয় মূল্যবোধ এবং সমাজের উন্নয়নে ধর্মীয় দায়িত্ব সম্পর্কে আলোচনা করেন। তিনি মুসলিমদের মধ্যে পরস্পরের প্রতি সহানুভূতি, সবার প্রতি সম্মান ও ভালোবাসার কথা তুলে ধরেন এবং সকলকে আল্লাহ তায়ালার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও অনুগত থাকার আহ্বান জানান।
এতে অত্র এলাকার শত শত মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন এবং তাদের আত্মার শান্তি ও আল্লাহর রহমতের প্রার্থনা করেন। এই জুম্মার নামাজে অংশগ্রহণকারীরা মসজিদের অগ্রযাত্রাকে আরো সুন্দর এবং সাফল্যমন্ডিত কামনা করেন। তারা তাদের অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, “এমন একটি মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এটি আমাদের ধর্মীয় জীবনে নতুন উদ্দীপনা যোগাবে।”
মসজিদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আশাবাদী মুসল্লিরা তাদের প্রার্থনায় এই মসজিদের জন্য এক সুন্দর ভবিষ্যতের কামনা করেন এবং মহান আল্লাহর কাছে মসজিদের সফলতা ও অগ্রগতি কামনা করেন। তারা মনে করেন, এই মসজিদ শুধু একটি ধর্মীয় স্থান নয়, বরং সমাজের সার্বিক উন্নয়নে একটি শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে।
মসজিদটির প্রতিষ্ঠা যে কেবল ধর্মীয় জীবনের উন্নতির জন্য নয়, বরং সামাজিক কল্যাণেরও একটি বড় পদক্ষেপ, তা পরিষ্কারভাবে প্রতিফলিত হয় এই জুম্মার নামাজের সফল আয়োজনের মাধ্যমে। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে পেরে স্থানীয় মুসল্লিরা অভিভূত এবং আশা করেন, ভবিষ্যতে মসজিদটি আরও অনেক সামাজিক এবং ধর্মীয় কার্যক্রমের জন্য প্রশংসিত হবে।
সর্বপরি, এই পবিত্র দিনটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে মুসলিম সম্প্রদায়ের হৃদয়ে এবং সকলের কাছে এক নতুন আশার সৃষ্টি করবে