ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল এর আশায় হাজারো উৎসুক জনতা:
নিজস্ব প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী ডাকসু নির্বাচন ঘিরে আজ পুরো ক্যাম্পাস যেন উৎসবমুখর। দীর্ঘদিন পর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রত্যাশা ও উত্তেজনা একইসাথে বিরাজ করছে। টিএসসি থেকে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি পর্যন্ত সর্বত্র শুধু আলোচনা—কে জিতবে, কারা নেতৃত্ব দেবে, আর নতুন ডাকসু কীভাবে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে ভূমিকা রাখবে।
হাজারো উৎসুক শিক্ষার্থী, সাবেক ছাত্রনেতা, সাধারণ জনগণ এমনকি রাজনৈতিক মহলও তাকিয়ে আছে এই ফলাফলের দিকে। কারণ, ডাকসু কেবল একটি নির্বাচনী আয়োজন নয়; বরং এটি বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতির প্রাণকেন্দ্র। অতীতে এখান থেকেই দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনগুলো শক্তি পেয়েছে। তাই এবারের নির্বাচনকে নতুন প্রজন্ম একটি পরিবর্তনের দ্বার হিসেবে দেখছে।
শিক্ষার্থীরা আশা করছে—নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যেন দলীয় প্রভাবের বাইরে থেকে ছাত্রদের প্রকৃত সমস্যা যেমন আবাসন সংকট, লাইব্রেরির আধুনিকায়ন, গবেষণা সুযোগ, সাশ্রয়ী খাদ্য ব্যবস্থা ও মানসম্মত শিক্ষা নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। পাশাপাশি দুর্নীতি, সেশন জট, ক্যাম্পাসে সহিংসতা ও ক্ষমতার অপব্যবহার রোধে ডাকসু কার্যকর ভূমিকা রাখবে—এমন প্রত্যাশা সবার মুখে মুখে।
ফলাফল ঘোষণার আগে থেকেই কেন্দ্রীয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ভিড় জমতে শুরু করেছে। কেউ ব্যানার হাতে, কেউবা প্রার্থীর নাম লেখা টি-শার্ট পরে স্লোগান দিচ্ছে। আবার অনেকে নীরবে দাঁড়িয়ে শুধু একটাই জিনিসের অপেক্ষায়—ফলাফল। এই অপেক্ষা যেন তাদের জন্য স্বপ্ন ও সম্ভাবনার প্রতীক।
সবাই বলছে, ফলাফল যাই হোক না কেন, ডাকসুর নেতৃত্ব হবে শিক্ষার্থীদের কল্যাণের জন্য, ক্যাম্পাসের সুশাসনের জন্য। আর এই বিশ্বাসই ডাকসু নির্বাচনের প্রকৃত প্রাণশক্তি।