ক্ষমতায় এলে শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করা হবে – মোবারক হোসাইন
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন মোহাম্মদপুর থানা পশ্চিম শাখার উদ্যোগে শ্রমজীবী ও মেহনতী মানুষদের নিয়ে এক শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সমাবেশে শ্রমিক অধিকার, ন্যায্য মজুরি ও কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠনের আহ্বান জানানো হয়।
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মোহাম্মদপুর থানা পশ্চিমের সভাপতি সাইফুল্লাহ সেলিমের সভাপতিত্বে উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১৩ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য জননেতা মোঃ মোবারক হোসাইন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক কল্যাণ ঢাকা মহানগরী উত্তরের সভাপতি মোঃ মুহিবুল্লাহ, ঢাকা-১৩ আসনের নির্বাচন পরিচালক মোঃ শফিউর রহমান, মোহাম্মদপুর থানা পশ্চিম জামায়াতের আমীর মোঃ মাসুদুজ্জামান, থানা জামায়াতের সেক্রেটারি মোঃ রবিউল ইসলাম রুবেল, শ্রমিক কল্যাণ জোন সদস্য মোঃ মনতাজ উদ্দিন, থানা জামায়াতের শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য মোঃ সাইফুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, শ্রমিক কল্যাণ দক্ষিণ সেক্রেটারি মোঃ অহিদুর রহমান, শ্রমিক কল্যাণ পশ্চিম সেক্রেটারি হযরত আলী লিটন সহ বিভিন্ন শ্রমিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জননেতা মোবারক হোসাইন বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি ন্যায়ভিত্তিক, দুর্নীতিমুক্ত ও শ্রমিকবান্ধব সমাজ প্রতিষ্ঠায় অঙ্গীকারবদ্ধ। তবে এই পরিবর্তন কেবল আশা বা স্বপ্নে সীমাবদ্ধ থাকবে না। এজন্য আমাদের কাজ করতে হবে, প্রচেষ্টা চালাতে হবে এবং ইসলামের ন্যায়ভিত্তিক সমাজব্যবস্থা মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা চাই শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি নিশ্চিত হোক, শিল্প কলকারখানা বৃদ্ধির মাধ্যমে কর্মসংস্থান বাড়ুক এবং শ্রমিকদের জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা হোক। ইসলামের পক্ষে জনমত সৃষ্টি ছাড়া এসব লক্ষ্য বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। কেবল ইসলামই শ্রমিকের মর্যাদা রক্ষা করেছে এবং তাদের অধিকারকে পূর্ণ স্বীকৃতি দিয়েছে।
শ্রমিক নেতা মুহিবুল্লাহ বলেন, একটি কল্যাণকর রাষ্ট্র গঠনের স্বার্থে আমাদেরকে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে দাঁড়াতে হবে। ঢাকা-১৩ আসনের প্রার্থী মোবারক হোসাইন ভাইয়ের পক্ষে জনমত গড়ে তুলতে হবে। ঘরে ঘরে গিয়ে মানুষকে বোঝাতে হবে এবং তাদেরকে ইসলামী আন্দোলনের গুরুত্ব বুঝাতে হবে।
অন্য বক্তারা বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে শ্রমিকরা নানা সমস্যায় জর্জরিত। ন্যায্য মজুরি, নিরাপদ কর্মপরিবেশ, স্বাস্থ্যসেবা ও জীবনমান উন্নয়ন সময়ের দাবি। এসব অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইসলামী আন্দোলনের বিকল্প নেই। তারা জনগণের কাছে ইসলামী মূল্যবোধভিত্তিক কল্যাণকর রাষ্ট্রব্যবস্থার পক্ষে সমর্থন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।