অবরুদ্ধ গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফা থেকে ৩১ অপরিণত শিশুকে দক্ষিণ গাজায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
রোববার (২০ নভেম্বর) রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা আল-জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজার আল-শিফা হাসপাতালে থাকা ৩১ অপরিণত শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের বাঁচাতে গাজার দক্ষিণের ইউরোপীয় ও নাসের হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফাকে অবরুদ্ধ করে নৃশংস হামলা ও অভিযান চালাচ্ছেন ইসরায়েলি সেনারা। এমনকি সেখানে কোনো সহায়তাও পৌঁছতে দেননি তারা। যার কারণে জ্বালানি, বিদ্যুৎ ও প্রয়োজনীয় সহায়তার অভাবে হাসপাতালটিকে তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়। ফলে সংকটের মধ্যে রয়েছে সেখানে থাকা রোগী ও আশ্রয় নেওয়া হাজার হাজার ফিলিস্তিনি।
এদিকে ইসরায়েলি সেনারা আল-শিফা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসক, রোগীসহ সেখানে আশ্রয় নেওয়া সাধারণ মানুষকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। অনেককে আবার বন্দুকের মুখে সেখান থেকে চলে যেতে বাধ্য করেছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি দল শনিবার (১৮ নভেম্বর) হাসপাতাল পরিদর্শন করে। তারা জানায় হাসপাতালটিতে এখনো শত শত রোগী রয়েছে। তাদের কেউ গুরুতরভাবে আহত, কেউ মানসিকভাবে অনেকটা বিচলিত। কেউ আবার নড়াচড়াও করতে পারছে না।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালায় হামাস। হামলায় ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি নাগরিক নিহত হন। হামাসের হামলার জবাবে ইসরায়েল গাজায় পাল্টা হামলা চালায়। এতে গাজায় ১২ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হন। যার মধ্যে ৫ হাজার শিশু রয়েছে। হামলায় পুরো গাজা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।
সম্প্রতি গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল-শিফাকে অবরুদ্ধ করে নৃশংস হামলা ও অভিযান চালাচ্ছেন ইসরায়েলি সেনারা। এদিকে রোববার (১৯ নভেম্বর) সেখানে এক অভিযান শেষে ইসরায়েল দাবি করেছে তারা সেখানে হামাস ব্যবহৃত একটি টানেল খুঁজে পেয়েছে। তবে এ দাবি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।