আলোকিত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে হলে আল্লাহভীরু লোকদের সংসদের পাঠাতে হবে
-মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
মহাগ্রন্থ আল কুরআনই বিশ্বমানবতার মুক্তির চাবিকাঠি এবং জাতীয় উন্নতি, সমৃদ্ধি ও সফলতার একমাত্র গ্যারান্টি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
তিনি গতকাল সন্ধ্যায় সিলেটের বিয়ানীবাজারের ইউসুফ কমপ্লেক্সে বিয়ানিবাজার উপজেলা ও পৌর জামায়াত আয়োজিত এক ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
পৌর আমীর জামির হোসাইনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আবুল কাশেম এবং সহকারী সেক্রেটারি রুক্কন উদ্দিনের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে বিশেষ অতিথি ছিলেন গোপালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হাফেজ নাজমুল ইসলাম, বিয়ানিবাজার উপজেলা জামায়াতের আমীর ফয়জুল ইসলাম, বিয়ানিবাজার কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল্লাহিল বাকী চৌধুরী, আলোচনা রাখেন বৈরাগী বাজার সিনিয়র মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহবুব আহমদ, নুহাদ্দিস মাওলানা নিজাম উদ্দিন, জান্নাতুল উম্মাহ আলিম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা আবুল কালাম প্রমুখ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, মূলত, আল-কুরআন হচ্ছে শাশ্বত, ভারসাম্য ও ইনসাফপূর্ণ পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। মানবজীবনের এমন কোন সমস্যা নাই যে সমস্যার সমাধান ইসলামে দেওয়া হয়নি। আল কুরআন মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে ধাবিত করে। পবিত্র কালামে হাকীমে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তার রজ্জুকে ঐক্যবদ্ধভাবে ধারণ করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং পরস্পর বিচ্ছিন্ন হতে নিষেধ করেছেন। সর্বোপরি দ্বীন প্রতিষ্ঠায় সীষাঢালা প্রাচীরের মত ঐক্যবদ্ধ হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন। মূলত, নামাজ, রোজা, হজ্জ যাকাত আমাদের ওপর যেমন ফরজ করা হয়েছে, তেমনিভাবে দ্বীন কায়েমও আমাদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় করা হয়েছে। আর যারা আল্লাহর দেয়া বিধান অনুযায়ি বিচার-ফয়সালা করে না আল্লাহ তাদেরকে স্থানভেদে কাফির, ফাসিক ও জালেম হিসাবে আখ্যা দিয়েছে। তাই দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের একদফার দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি দেশে কুরআনের রাজ প্রতিষ্ঠায় সকলকে জামায়াতের হাতকে শক্তিশালী করার আহবান জানান।
তিনি বলেন, বিগত ৫৩ বছরে শাসক গোষ্ঠী আল্লাহর আইন দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করেনি বরং মানুষের তৈরি আইন দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করার কারণেই আমাদের সমাজ এতোটা নষ্ট হয়েছে এবং এতোটা খারাপ হয়েছে যে, দেশে ৪/৫ বছরের বাচ্চা শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। এ অবস্থা একদিনে হয়নি। মূলত দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ইসলামীকরণ না করে নাচ, গান, ভোগবাদ ও নাস্তিক্যবাদ শেখানোর কারণে এ ধরনের অধঃপতন ঘটেছে। শিক্ষা কারিকুলামে কুরআন ও দ্বীনকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়নি। ফলে আমাদের নতুন প্রজন্মের একটা অংশ দাড়িয়ে প্রশ্রাব করতে শিখেছে। দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো সন্ত্রাসের আখড়া ও মিনি ক্যান্টনমেন্টে পরিণত হয়েছে। তাই দেশ ও জাতিকে কুরআনের আলোকে আলোকিত করতে হলেও সৎ ও আল্লাহভীরু লোকদের সংসদের পাঠাতে হবে। তাহলেই দেশ থেকে দুর্নীতি, লুটপাট, ধর্ষণ সহ সকল প্রকার অপধরাধ প্রবণতা বন্ধ হবে। তিনি বিয়ানীবাজার ও গোপালগঞ্জকে আদর্শ শহরে পরিণত করতে সকলের সার্বিক সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন।